নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: মাতৃত্বকালীন ছুটি, ছুটিকালে ভাতা প্রদান, মাসিক বেতন ৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ ও ভাতা বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবিতে টানা দু’দিন ধরে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরের সিনহা গার্মেন্টের শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে। রোববার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে গার্মেন্টেসের ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েও ৯টার দিকে মহাসড়কে অবস্থান নেন। সোনারগাঁ থানা পুলিশ, কাঁচপুর শিল্প পুলিশ ও কাঁচপুর হাইওয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের রাস্তা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলেও তারা পুলিশের সেই অনুরোধ রাখেনি।
পরে শ্রমিকের সাথে পুলিশের তর্কবির্তকের একপর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর জলকামান ও টিয়ার শেল ছুড়ে মারলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোদ্ধ শ্রমিকদের সংঘর্ষ বেধে যায়। শ্রমিকরাও এসময় পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে গোটা কাঁচপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের অভিযানে শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেলেও অবরোধের কারণে দুটি মহাসড়কের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তীতে পড়ে যাত্রীরা।
মাতৃত্বকালীন ছুটি, ছুটি কালে ভাতা প্রদান, মাসিক বেতন ৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ ও ভাতা বৃদ্ধি এ ৪ দফা দাবিতে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে সিনহা গার্মেন্টের শ্রমিকরা গতকাল শনিবার সকালে কারখানা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে শ্রমিকরা লাঠিসোটা নিয়ে কারখানার প্রধান ফটকের বাইরে গিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ এ সময় কারখানা একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করে।
সিনহা গার্মেন্টের আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, শ্রমিক জানান, সিনহা গার্মেন্টে ৪ দফা দাবি দীর্ঘদিন ধরে করা হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তা কর্ণপাত করছে না। তাই শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে তাদের কাজ বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করছে। পুলিশ মালিক কর্তৃপক্ষের ইন্ধনে আমাদের লাঠিচার্জ করে আমাদের উপর গুলি বর্ষন করেছে। এতে আমাদের ১০জন শ্রমিক আহত হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, কাঁচপুরের সিনহা গার্মেন্টে শ্রমিক অসন্তোষের খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও তার নেতৃত্বে থানা পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে আসি। এ সময় পুলিশ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশের সাথে মারমূখি আচারন করে বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং পুলিশের উপর ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করছে।